জাপানিদের ব্যতিক্রমী ও উন্নত প্রযুক্তির কথা আমরা অনেকেই জানি। বাস্তবে জাপানে এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা বহু মানুষ ভাবতেও পারবে না।
এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু প্রযুক্তি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
অভিনব পেট্রল পাম্প
জাপানের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে ওপর থেকে ঝোলানো পাইপ দেখা যায়। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নিজে পেট্রল পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে। পাইপ হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য কষ্ট করতে হয় না এতে।
ভেন্ডিং মেশিনেই সবকিছু
ভেন্ডিং মেশিনে শুধু পানীয় নয়, জাপানে বহু ধরনের খাবারও পাওয়া যায়। আর এতে ক্রেতাদের বাড়তি ঝামেলাও করতে হয় না। এমনকি কোনো কোনো ভেন্ডিং মেশিনে সেদ্ধ ডিম, আলু, পাস্তা ইত্যাদি খাবারও পাওয়া যায়।
অভিনব পার্কিং
জাপানের বড় শহরগুলোতে স্থানের অভাব তীব্র। আর তাই গাড়ি পাকিংয়েও অভিনবত্ব চোখে পড়ে। বহু পার্কিংয়েই একটি গাড়ির ওপর অভিনব কায়দায় আরও গাড়ি রাখা হয়।
অন্ধদের জন্য ক্যান
বিভিন্ন পানীয়ের ক্যানের ওপর অন্ধদের জন্য ব্রেইল ভাষায় লেখা থাকে। এতে তাদের পক্ষে পানীয়টি চিনে নিতে সুবিধা হয়।
ব্যাগ রাখার জায়গাসহ চেয়ার
বিভিন্ন স্থানে চেয়ারে বসার সময় আপনি কি ব্যাগ রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন? জাপানিরা বহুদিন আগেই এ সমস্যার সমাধান করেছে। তারা চেয়ারের এক পাশে ব্যাগ রাখার জন্য একটি খাঁজের ব্যবস্থা করেছে।
ফুট স্পাসহ ট্রেন
জাপানের কোনো কোনো ট্রেনে এমন ব্যবস্থা রয়েছে। এতে যাত্রীরা ভ্রমণের সময় পা স্পা করার সুবিধা পায়।
মাল্টি ফাংশনাল টয়লেট
জাপানে ব্যবহৃত টয়লেটগুলো সাধারণত শুধু তাদের মূল কাজই নয়, আরও বহু কাজের উপযোগী। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বেশ ভালো সুবিধা থাকে টয়লেটগুলোতে। এগুলোর কোনো কোনোটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা, শীতকালে গরম করার ব্যবস্থাও থাকে।
মানসিক চাপ কমানোর পপার
জাপানিরা প্রচুর কাজ করে। এতে তাদের মানসিক চাপও বেশি থাকে। আর এ চাপ কমানোর জন্য একটি উপায় হলো বুদবুদ ভাঙা। এজন্য পপার পাওয়া যায় জাপানে। এগুলো অনেকেই চাবির রিংয়ে বহন করে।
ট্যাক্সির স্বয়ংক্রিয় দরজা
ট্যাক্সিতে ওঠার পর অনেকেই সঠিকভাবে দরজা বন্ধ করতে পারেন না। আবার নামার পরও খোলা দরজার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় চালকদের। আর জাপানিরা এ সমস্যার সমাধান করেছে স্বয়ংক্রিয় দরজা ব্যবহারের মাধ্যমে। প্রচুর জাপানি ট্যাক্সিতেই স্বয়ংক্রিয় দরজা রয়েছে, যা এ ধরনের সমস্যামুক্ত।
ঘুমানোর হোটেল
আপনার যদি বাড়িতে নানা কারণে সঠিকভাবে ঘুম না হয় তাহলে জাপানের এ উদাহরণ অনুসরণ করতে পারেন। জাপানে রয়েছে একেবারে নিরব ঘুমানোর ব্যবস্থা সংবলিত হোটেল। শুধু ঘুমানোর জন্যই অনেকে হোটেলগুলোতে যান।
সংগীতের সড়ক
জাপানের বিভিন্ন সড়কে সংগীতের সুর শোনা যায়। এ ছাড়া রয়েছে সংগীতের বিভিন্ন চিহ্নেরও ব্যবহার। দীর্ঘযাত্রায় এ ধরনের রাস্তা খুবই কার্যকর।
বিড়ালের ক্যাফে
জাপানে পোষা বিড়াল যাদের রয়েছে তারা বিড়ালসহ এ ধরনের ক্যাফেতে যান। এতে বিড়ালগুলো খুবই মজা পায়। পাশাপাশি বিড়ালের মালিকদের জন্যও ভালো ব্যবস্থা থাকে।
পাবলিক ঘোষণার ব্যবস্থা
প্রায় সারা জাপানেই রয়েছে লাউডস্পিকারের একটি নেটওয়ার্ক। এগুলোর মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভূমিকম্প ও সুনামির মতো জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক করাও সহজ হয়। এমনকি এর মাধ্যমে প্রায়ই সন্ধ্যায় শিশুদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘুমন্ত অবস্থায় দায়িত্ব পালন
দীর্ঘ কর্মঘণ্টার জন্য জাপানিরা প্রায়ই খুব ক্লান্ত হয়ে যায়। আর এ পরিস্থিতি কাটানোর জন্য জাপানিরা ঘুমের বিষয়টিকে অনেকাংশেই স্বাভাবিক করে নিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময়ও ঘুমিয়ে গেলে এখানে কোনো দোষ হয় না। জাপানে আপনি এমনকি বসের সামনেও ঘুমাতে লজ্জা পাবেন না।