নামমাত্র ভাড়ায় চলছে স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৪২/বি ও ১৪২/সি দুইটি দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন জনৈক মো. মনিরুজ্জামান। একেকটি দোকানের জন্য তিনি মাসে ৫৯৩ টাকা হারে বছরে মাত্র ৭ হাজার ১১৬ টাকা পরিশোধ করেন।

স্টেডিয়ামের ২৯৪টি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। যার প্রতি স্কয়ার ফিটের ভাড়া ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মতো শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের দোকানগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কেন এতো কম মূল্যে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে কমিটির পক্ষ থেকে সকল দোকানের ভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ে কোনও অফিস না থাকায় মনিটরিং ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে বিধায় বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। আর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোন প্রকল্প গ্রহন বা অন্য কোন কর্মসূচি থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলার জনপ্রতিনিধি যারা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করতে বলা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, বিগত ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীনে প্রধানমন্ত্রী ১৬ টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই সকল প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হয়।

কমিটি সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেল-এর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, এ এম নাইমুর রহমান, নূরুল ইসলাম তালুকদার, অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY