আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে লরি নিয়ে হামলাকারী সন্দেহভাজন আনিস আমরি মিলান শহরের কাছে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত সোয়া আটটার দিকে জার্মানির বার্লিনে কাইসার উইলহেম মেমোরিয়াল চার্চের বাইরে বড়দিন সামনে রেখে বসা বাজারে একটি ট্রাক ঢুকে পড়লে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। আহত হন ৪৯ জন। ওই ঘটনার পর থেকে জার্মানি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ওই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন আনিস আমরি।
ওই ঘটনার পর জার্মানির ওবাহাওজেন শহর থেকে হামলার পরিকল্পনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতালির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তির আঙুলের ছাপের সঙ্গে আমরির আঙুলের ছাপ মিলেছে। ট্রাকের ভেতরে আমরির আঙুলের ছাপ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেছেন জার্মানির কর্মকর্তারা।
বার্লিনে হামলার ঘটনায় জার্মানির কেন্দ্রীয় কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আমিরের নাম প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে ধরতে সহযোগিতার জন্য এক লাখ ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাঁর খোঁজে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো মিনেত্তি বলেন, মিলানের সেস্তো সান জুভান্নি এলাকায় নিয়মিত টহল চলার সময় পুলিশ তাঁকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। এ সময় তিনি পুলিশের ওপর গুলি চালান। এরপর পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনিই যে আনিস আমরি ‘সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই’। আমিরের গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
এদিকে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তোবে প্ল্যাতে বলেছেন, বার্লিনে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন আমরিকে মিলানের পুলিশ গুলি করে হত্যার খবরে স্বস্তি পেয়েছে জার্মানি।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানায়, আনিস আমরি ফ্রান্স থেকে ট্রেনে চড়ে প্রথমে ইতালির তুরিন শহরে আসেন। পরে সেখান থেকে আরেকটি ট্রেন ধরে মিলানে আসেন।
২৪ বছর বয়সী তিউনিসীয় নাগরিক আনিস ২০১১ সালে ইতালিতে ভাঙচুর, হুমকি ও চুরির দায়ে কারাভোগ করেন। জেলে থাকাকালে সহিংস আচরণের জন্য তিনি ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচিতি পান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে ইতালি ছাড়তে বলা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে আমির জার্মানিতে পৌঁছান।