প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড যখন বাংলাদেশের সামনে ৩৪২ রানের পাহাড় সমান টার্গেট দাঁড় করায় তখনই যেন মানসিকভাবে হেরে বসে টাইগাররা। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। এতো রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড বাংলাদেশের নেই। তাতে কি! অস্ট্রেলিয়া যখন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৪৩৮ রানের টার্গেট দাঁড় করিয়েছিল তখন কেউ ভাবেনি এই রান টপকে জিতে যাবে প্রোটিয়ারা।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই ম্যাচে জয়লাভ করে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের সামনেও সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে এমন এক সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ৩৪২ রানের টার্গেট তাড়া করে রেকর্ড গড়ার জন্য যে স্পৃহা বা বিস্ফোরক ব্যাটিং দরকার ছিল তার কোনোটাই দেখা গেল না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।
উল্টো ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের কারণে ৭৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। আজও ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। তাছাড়া আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখা যায়নি কারও মধ্যে। শেষদিকে মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ম্যাচ প্রায় নিজেদের করে এনেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যও বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল না। ৪২ রান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুশফিক।
মোসাদ্দেককে আর সঙ্গ দেয়ার কেউ না থাকায় ৪৪ দশমিক ৫ বলে ২৬৪ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের ইনিংসে ১৫৪টি বলই ছিল ডট। সেই হিসাবে ১৯ দশমিক ১ ওভারেই বাংলাদেশ তুলেছে ২৬৪ রান।
এদিন সিঙ্গেল নেয়াটা যেন ভুলে গিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সবাই বিগ শট খেলতে গিয়ে আউট হন। সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান দুজনেই আগের বলে ছয় মেরেও পরের বলে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।
মারকুটে ওপেনার তামিম ইকবাল ৫৯ বল খেলে করেন ৩৮ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩৯টি ডট বল। মুশফিকুর রহিম ৪৮ বলের মধ্যে ২৪ বল এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪৪ বলের মধ্যে ২৪ বলে রান পাননি। এছাড়া সাকিবের ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ২৩টি ডট বল। ইমরুল কায়েসের ২১ বলের ইনিংসে ছিল ১৭টি ডট বল। ১৫৪ ডট বলের অর্ধেক অর্থাৎ ৭৭ বলে যদি এক রান করেও সংগ্রহ করতো টাইগাররা তাহলে ৭৭ রানে হারতে হতো না সফরকারীদের।