আজ পুলিশ সপ্তাহ শুরু

আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭। এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য- ‘জঙ্গি মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেডের মধ্যদিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। এবার প্রথমবারের মতো পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৬ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৬ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)”, ৪১ জনকে “রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)” প্রদান করা হবে।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ       নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৪ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা” এবং ৪১ জনকে “রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা” প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে পদক পরিয়ে দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, সাইবার ট্রেনিং সেন্টার এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য ‘রাজারবাগ-৭১’ উদ্বোধন করবেন। তিনি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)-এর স্টল পরিদর্শন করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।

পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে এবারও একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা অধিনায়ক হিসেবে প্যারেডে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি হলেন- চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তার নেতৃত্বে প্যারেডে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নিবেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মহা-পুলিশ পরিদর্শক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। দেশের সকল প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলসমূহ পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সাথে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্যদিয়ে পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে। পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।

LEAVE A REPLY