ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। নিয়মিত উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম হয়ে থাকলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।
এই দুজনের হাফ সেঞ্চুরির দৌলতে ৮ উইকেটে ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমেছে ভারত ‘এ’ দল।
হায়দরাবাদের প্রায় পরিচিত কন্ডিশনে দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর দলের হাল ধরেছিলেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যন সৌম্য সরকার। চাপের মধ্যে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। সৌম্যর বিদায়ের পর আবারও বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে টানেন মুশফিক-রিয়াদ জুটি।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই ফিরে যান তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস এবং মমিনুল হক। দলীয় ২২ রানে বিদায় নেয় ইমরুল কায়েস (৮)। দলীয় ২২ রানে সিভি মিলিন্দর বলে হার্ডিক পান্ডিয়াকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইমরুলের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। অঙ্কিত চৌধুরীর বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে বোল্ড হয়ে ফিরে যান দেশসেরা এই ওপেনার। তার সঙ্গী মমিনুলও টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরে যান এই নির্ভরযোগ্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সবার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ফর্মের ধারাবাহিকতা ভারত সফরেও বজায় রাখলেন সৌম্য সরকার। ভারতীয় এ দলের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় যখন বাংলাদেশের সামনে মহাবিপদ, তখন সৌম্যর ব্যাটই নতুন আশা দেখায়। তবে ৫২ রান করে সৌম্যর বিদায়ের পর আবারও বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফিরে যান মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (২৩)।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিক। তিনি ৫৮ রানে আউট হওয়ার পর আর কিছু করে দেখাতে পারেনি বাকিরা। মুশির সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়া সাব্বির রহমান ৩৩ রান করে আউট হন।