শিক্ষার কোন বয়স নেই। মনের অদম্য প্রচেষ্টা থাকলে যেকোন বয়সেই হওয়া যায় শিক্ষিত।
এমনই প্রমাণ করলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মলি রাণী। ৩৫ বছর বয়সেও চলতি এসএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলের সাথে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।মলি রাণী উপজেলার গালিমপুরের দেবব্রত কুমার মিন্টুর স্ত্রী। আজ রবিবার বাগাতিপাড়া ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে মা মলি আর ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডু ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা দেন। মলি রাণী জানান, নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবা অসিত কুন্ডু তাকে বিয়ে দেন। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। সংসারের চাপে পিষ্ট হয়ে গৃহিনীই রয়ে যান তিনি। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন।
বড় ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডু বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কারিগরি শাখায় বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছোট ছেলে পাপন কুন্ডু তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তিনি জানান, ছেলেদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার নিজের পড়ালেখা জানা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডে ভর্তি হন।
চলতি বছর একই বইয়ে মা ও ছেলে লেখা পড়া করে ওই বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। মিষ্টি দোকানদার হয়েও স্বামী পড়ালেখায় বেশ সহযোগিতা করেন। সারাদিন সংসারের কাজ সেরে রাত জেগে পড়ালেখা করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েও ভালো প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন মলি রাণী।