রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের সাবেক স্বামী ও একই বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমদকে বিশেষ ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতে সিন্ডিকেটের ৪৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, আকতার জাহানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষকদের অনাস্থা, এক শিক্ষার্থীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তানভীর আহমদের কাছে অনিরাপদ বোধ করে না, এইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি ঘোষণা করে।
সেই কমিটি যতদিন পর্যন্ত তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয় ততদিন তাকে ছুটিতে থাকতে হবে। তবে তিনি বেতন পাবেন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে তার ভিত্তিতে প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন এ সিন্ডিকেট সদস্য।
এর আগে সিন্ডিকেটের ৪৬৯তম সভায় পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলামকে প্রধান এবং সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমা জোহরা হাবিব ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিম রেজাকে সদস্য করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক ভবন জুবেরি ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর আকতার জাহানের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে ওই শিক্ষকের হাতে লেখা একটা সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
সুইসাইড নোটে শারীরিক ও মানিসক চাপের কারণে আতœহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করে আকতার জাহান লেখেন, সোয়াদকে (তাদের ছেলে) যেনো তার বাবা কোনো ভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে সে যেকোনো সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে।
এদিনই অধ্যাপক আকতার জাহানের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা অভিযোগে মামলা করেন ভাই মো কামরুল হাসান বাদি হয়ে এ মামলা করেন।##