যদি পকেটে চান ‘স্মার্ট দানব’, তবে নিন ক্যাট এস৬০

স্মার্টফোনের চলতি বাজারে যদি ক্যাট এস৬০ এর নাম বলা হয়, তাহলে অনেকেই চিনবেন না। কিন্তু যাদের চেনার তারা ঠিকই ভুল করবেন না। ক্যাটারপিলার হলো আমেরিকা-ভিত্তিক এক কম্পানি যারা স্থাপনা সংশ্লিষ্ট ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণ করে। তারা উচ্চমানের স্মার্টফোনও নির্মাণ করে। যাদের সেই দানবীয় যন্ত্রগুলোর মতোই তাদের স্মার্টফোনের শক্তিমত্তা। এগুলো সবই ‘রাগড’ ফোন ক্যাটাগরিতে পড়ে। অর্থাৎ, বড় ধরনের আঘাত, ধুলোবালি, পানি বা কাদায় এসব ফোনের কিছুই হবে না। আর স্পেসিফিকেশন তো অন্যান্য জনপ্রিয় ফোনকেও ছাড়িয়ে যায়।

 

২০১৩ সাল থেকেই তারা মোবাইল ফোন বানায়। ব্রিটেন-ভিত্তিক বুলিট মোবাইলে তারা নিজেদের ব্র্যান্ড লাইসেন্সস করে। টেকসইয়ের দিক থেকে এরা পৃথিবীর সেরা।

ক্যাটা এস৬০ এর অনন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে এর ফ্লির লেপ্টন থার্মাল মাইক্রোক্যামেরা মডিউল। পেছনের ক্যামেরাটি পৃথিবীর প্রথম স্মার্টফোন ক্যামেরা যেখানে থার্মাল বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে। দরজা বা জানালার তাপমাত্রা হ্রাস, আর্দ্রতা এবং আস্তরণ খসে পড়লে তা শনাক্ত করে এই ক্যামেরা। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ইলেকট্রনিক সামগ্রীও চিহ্নিত করে এই ক্যামেরা। ঘুটঘুটে অন্ধাকারেও সব দেখা যাবে এই ক্যামেরায়।

এর দেহ মিল-এসটিডি ৮১০জি রেটিং প্রাপ্ত। মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কিছুই হবে না এই ফোনের। শকওয়েভ এবং ৬ ফুট ওপর থেকে পড়লেও দিব্যি ভালো থাকবে। এটি আইপি৬৮ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত। ৫ মিটার পানির গভীরে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকবে ফোন।

ডুয়াল সিমের ফোনের রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শমেলো। ৪.৭ ইঞ্চি এইচডি পর্দায় অনায়াসে কাজ করবে ভেজা বা হাতমোজা পরা আঙুল। স্ন্যাপড্রাগন ৬১৭ এসওসি-তে গতি দেবে ৩ জিবি র‍্যাম।

পেছনে আরো রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা পানির নিচেও ছবি তুলতে সক্ষম। আছে ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশ। সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অভ্যন্তরে ৩২ জিবি স্টোরেজ যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এ স্মার্টফোনের বাইরের খোলসটি বিশেষভাবে তৈরি। ব্যাটারি ৩৮০০এমএইইচ শক্তির যা খোলা যাবে না।

বাংলাদেশের বাজারে এর দাম সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া সবখানে পাওয়াও যাবে না। তবে ভারতের বাজারে ক্যাট এস৬০ সম্প্রতি ছাড়া হয়েছে। সেখানে দাম ধরা হয়েছে ৬৪৯৯৯ রুপি।