রুমানিয়ায় একটি অনলাইন অভিধানের অ্যাডমিনস্ট্রেটাররা পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন বন্ধ করার জন্য এক অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন।
তারা পরীক্ষার সময় অনলাইন অভিধানে বেশ কিছু শব্দের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিলেন কারণ তাদের সন্দেহ ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা এই অভিধান ব্যবহার করে অসাধুতার আশ্রয় নিচ্ছে।
দেশটিতে ১৪ এবং ১৫ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় পর্যায়ের যে মান মূল্যায়ন পরীক্ষা হয়, তার প্রস্তুতি পরীক্ষা বা টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় সোমবার।
গত বছর টেস্ট পরীক্ষার সময় দেখা যায় অনলাইনে এই অভিধানটিতে কিছু কিছু শব্দ খোঁজা হয়েছে অসংখ্যবার। সেখান থেকেই ওয়েবপেজের অ্যাডমিনস্ট্রেটারদের মনে সন্দেহ জাগে।
এবছর তারা ঠিক করেন পরীক্ষা চলার সময় সকাল ৯’টা থেকে ১১’টা পর্যন্ত তারা দেখবেন অনলাইনে বিশেষ বিশেষ শব্দ খোঁজার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায় কীনা।
তারা সর্বাধিক ব্যবহৃত তিনটি শব্দ বেছে নেন কারণ তাদের মনে হয়েছিল পরীক্ষায় উত্তর দেবার জন্য ওই তিনটি শব্দের মানে জানা খুবই জরুরি। এ্ররপর তারা তিনটি শব্দের মানে আমূল বদলে দেন।
যেমন রুমানীয় ভাষায় ‘প্রেটুটিনডেনি’ শব্দের ইংরেজি অর্থ ‘এভরিহোয়্যার’ বা ‘সর্বত্র’। সোমবার সকালে পরীক্ষার সময়টুকুতে তারা ওই শব্দের অর্থ লিখে দেন ‘চিরকাল’। কাউকে বা কোন কিছু খুঁজতে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদ ‘খোঁজা’-র অর্থ তারা বদলে করে দেন ‘দ্রুত যাওয়া’।
পরীক্ষা শুরু হবার আগে এই দুটি শব্দ অনলাইন অভিধানে খোঁজা হয়েছিল মাত্র নয়বার। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকে এবং পরীক্ষা চলার সময় দেখা যায় অনলাইন অভিধানে এই দুটি শব্দের অর্থ খোঁজার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
পরে দেখা যায় প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে এই শব্দ দুটি ছিল এবং কী জানতে চাওয়া হচ্ছে তা বুঝতে গেলে এই দুটি শব্দের মানে জানা খুবই জরুরি।
তৃতীয় শব্দটিও অভিধানে খোঁজা হয়েছে অনেকবার, যদিও তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে তৃতীয় শব্দটি ছিল না ।
তাহলে? পরে খোঁজ নিয়ে অ্যাডমিনস্ট্রেটারা বের করেন বিখ্যাত এক লেখক এই শব্দটি অভিধানে ওই সময় বহুবার খুঁজেছেন, যেটা তারা বলছেন, ‘খুবই কাকতলীয়’।