১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল, এই পাঁচটি বছরে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দর্শকনন্দিত নায়িকা শিল্পী। তার পুরো নাম আঞ্জুমান আরা শিল্পী। মোহাম্মদ হোসেন প্রযোজিত রানা নাসের পরিচালিত ‘প্রিয়জন’ চলচ্চিত্রের কথা মনে করিয়ে দিলেই খুব সহজেই দর্শক শিল্পীকে মনে করতে পারেন। কারণ তিনি প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রের সাবিনা ইয়াসমিন ও অ্যান্ড্রু কিশোরের গাওয়া ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি , আজ আমি তারে পেয়েছি, তুমি আমার সেই তুমি আমার, তোমারে খুঁজে পেয়েছি’ গানটি আজও দর্শকের কাছে প্রিয় একটি গান।
‘প্রিয়জন’ চলচ্চিত্রের এই গানে সালমান শাহ ও শিল্পীর অনবদ্য অভিনয় আজো দর্শককে মুগ্ধ করে। দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও ২০০০ সালে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন শিল্পী। গতকাল তারসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আর চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই তার। কারণ হিসেবে শিল্পী বলেন,‘ যে স্বর্ণযুগে কাজ করে এসেছি, যে সম্মান পেয়েছি দর্শকের কাছ থেকে এবং আজও পাচ্ছি, তাই নিয়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। কারণ চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত। নতুন করে এখান থেকে আমার পাওয়ার কিছু নেই। আমি একজন চলচ্চিত্রের নায়িকা, এই নিয়ে অবশ্যই আমি গর্ববোধ করি। কারণ দর্শক এখনো আমাকে চেনেন, জানেন, সম্মান করেন চলচ্চিত্রে কাজ করেছি বলেই। আমি চলচ্চিত্রের একজন মানুষ, এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি।’
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে শিল্পী নারায়ণগঞ্জে তারই মামা মজনু’র হাত ধরে সোহরাবের থিয়েটার দল ‘শকুন্তলা নাট্যগোষ্ঠী’র সাথে বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আওলাদ হোসেন চাকলাদার পরিচালিত ‘নাগ নর্তকী’। কিন্তু মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার কমান্ডো’। এটি ১৯৯৫ সালের ৫ মে মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন আমিন খান। এরপর শিল্পী নায়ক রাজ রাজ্জাকের ‘বাবা কেন চাকর’, আবুল খায়ের বুলবুলের ‘ক্ষমা নেই’,নূর হোসেন বলাইয়ের ‘শক্তের ভক্ত’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘মুক্তি চাই’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লম্পট’সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ চলচ্চিত্র দুটি হচ্ছে নায়ক রাজ রাজ্জাকের ‘প্রেমের নাম বেদনা’ এবং দেওয়ান নজরুলের ‘সুজন বন্ধু’।